দক্ষিণবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লির ‘গুরুজি’র কাণ্ডের পর একই রকমের অভিযোগ উঠল মহারাষ্ট্রের এক ‘গুরুজি’র বিরুদ্ধে। অভিযুক্তের নাম ভগবান কোকারে মহারাজ। গুরুকুল সংগঠনের প্রধান তথা রত্নগিরির স্কুলের শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ করে এক ছাত্রী। থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে প্রীতিশ প্রভাকর কদম নামে আরও এক শিক্ষকের বিরুদ্ধেও। ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন ‘গুরুজি।’
মহারাষ্ট্রে বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান গুরুকুল। আধ্যাত্মিকতা নিয়ে পড়াশোনার জন্য ভর্তি হয় প্রচুর ছেলেমেয়ে। অভিযোগকারিণীও তাদের এক জন। নাবালিকা ছাত্রীর অভিযোগ, ‘গুরুজি’ তাকে ক্যাম্পাসেই যৌন হেনস্থা করেছেন। গত ১২ জুন ওই প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয় সে। তার কথায়, ‘‘ভর্তির পর প্রথম আট দিন বেশ ভাল কেটেছে। কিন্তু যে দিন থেকে গুরুজি এলেন, সমস্যা শুরু হল।’’
কী রকম সমস্যা? মেয়েটির কথায়, ‘‘যখনই আশ্রমের ঘরে আমি একা থাকতাম, কোথা থেকে যেন গুরুজি চলে আসতেন! আমার একেবারে কাছে আসতেন। অস্বস্তি হত। উনি বলতেন, মারো আমায়, বুকে আঙুল বুলিয়ে দাও। সুড়সুড়ি দাও। সেই শুরু… তার পর বার বার নানা ভাবে হেনস্থা করছেন উনি।’’ ছাত্রীর এ-ও অভিযোগ, সে রুখে দাঁড়াতেই হুমকি আসে। বলা হয়, পরিণতি ভয়ঙ্কর হবে। এর পর আসরে নামেন প্রীতিশ।
অভিযোগকারিণী বলে, ‘‘উনি আমাকে সরাসরি ক্ষতির হুমকি দেন। বলা হয়, গুরুজির বিরুদ্ধে কিছু বললে পস্তাতে হবে। আমার বাবা, দাদা, বাড়ির সকলকে মরতে হবে। আর আমার পড়াশোনার পাট এখানেই চুকে যাবে।’’
ওই ভয়ে মাসের পর মাস চুপ থাকলেও গত সোমবার বাবাকে সব বলে দেয় মেয়ে। তার পরেই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে পরিবার। মহারাষ্ট্র পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইনে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্তে নেমে গ্রেফতারও করা হয়েছে মূল অভিযুক্তকে। দু’দিনের পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন তিনি।
এই ঘটনা ঘিরে শোরগোল শুরু হয়েছে মহারাষ্ট্রে। শিবসেনা (ইউবিটি) প্রধান উদ্ধব ঠাকরের সন্দেহ, হতে পারে ওই ছাত্রীর মতো আরও অনেকে ‘গুরুজি’র হেনস্থার শিকার। কিন্তু লজ্জা-ভয়ে মুখ খুলতে পারেনি তারা। তিনি কোকারের সঙ্গে রাজনৈতিক-যোগ ফাঁস করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। বিজেপি বলছে, পুলিশ তদন্ত করছে। অপরাধ করলে শাস্তি হবেই।
দিন কয়েক আগে দিল্লির শ্রীসারদা ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ান ম্যানেজমেন্ট কলেজের ডিরেক্টর পার্থসারথি ওরফে স্বামী চৈতন্যানন্দের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি এবং ভয় দেখিয়ে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগ করেন ১৭ জন ছাত্রী। গ্রেফতার হন ‘গুরুজি।’


















