দক্ষিণবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি রিক পিপারকর্ন সাংবাদিকদের বলেন, ‘গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পুনর্গঠন করতে অনেক বড় অংকের ডলার প্রয়োজন।’
পিপারকর্ন বলেন, ‘গাজার শুধুমাত্র স্বাস্থ্য খাত পুনর্নির্মাণের জন্য তার দলের প্রাথমিক অনুমান হলো প্রথম দেড় বছরের জন্য ৩ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি এবং তারপর পাঁচ থেকে সাত বছরের জন্য ১০ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন পড়বে।’
আমরা সবাই জানি যে গাজার ধ্বংসযজ্ঞ ব্যাপক। আমি আমার জীবনে অন্য কোথাও এমনটা দেখিনি।’ বলেন পিপারকর্ন।
এদিকে ডব্লিউএইচও প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস এরই মধ্যে বলেছেন, ‘গাজার অর্ধেকেরও কম হাসপাতাল এখন কার্যকর রয়েছে।’
বুধবার মধ্যস্থতাকারীদের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে যে ইসরাইল এবং হামাস অবশেষে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছেছে। যাকে তিনি ‘সেরা খবর’ বলে অভিহিত করেছেন।
তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে এই চুক্তি ইসরাইলি এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সম্পর্কের ইতিহাসের সবচেয়ে অন্ধকার অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটাবে।
‘আমরা এই খবরকে অত্যন্ত স্বস্তির সাথে স্বাগত জানাই। কিন্তু দুঃখও আছে যে চুক্তিটি এত দেরিতে হতে যাচ্ছে যখন সংঘর্ষে অনেকে নিহত হয়েছেন।
মধ্যস্থতাকারীরা যদিও বলেছেন যে চুক্তিটি রোববার থেকে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের আকস্মিক হামলার পর গাজায় হামলা শুরু করে ইসরাইল। টানা ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলে ইসরাইলের হামলা। এরই মধ্যে ইসরাইলের আক্রমণে গাজায় ৪৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।