দক্ষিণবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ডিভিসি বোরো চাষের জল ছাড়তেই আবারও খানাকুলে ভাঙল বাঁধ! অকাল প্লাবন খানাকুলের একাংশে। এদিন সকালে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে চিংড়া পঞ্চায়েত এলাকার বিস্তীর্ণ চাষের জমি। এখনও মাঠে রয়েছে চাষের আলু ! আচমকা প্লাবনের জেরে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন এলাকার চাষিরা।সেপ্টেম্বরের বন্যায় খানাকুলের চিংড়া পঞ্চায়েতের বলাইচকে মুণ্ডেশ্বরী নদীর শাখা খালে বাঁধ ভেঙেছিল। পরে সেই বাঁধ সরাই করা হয়। তবে বর্তমানে বোরো চাষের জন্য জল ছেড়েছে ডিভিসি। সেই জল এসে পৌঁছতেই বলাইচকে বাঁধ ভেঙে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে।এর জেরে চিংড়া পঞ্চায়েতের বলাইচক, কুমারচক, রঞ্জিতবাটি, কেটোদল সহ বহু গ্রামের চাষের জমি ডুবে গিয়েছে। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। এদিন সকালে অনেক চাষিকে তড়িঘড়ি মাঠের আলু তুলতে দেখা যায়। এবার বর্ষায় চাষে ব্যাপকক্ষতি হয়েছিল। আবারো ক্ষতির মুখে পড়ায় কার্যত দিশেহারা চাষিরাচোখের জলে ভাসাচ্ছেন এলাকার আলু চাষিরা, একদিকে বন্যার সময় ব্যাপক পরিমাণের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে চাষবাসে। আবারও সোজা হয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিলেন চাষিরা। কিন্তু বিপদ যেন তাদের কপাল থেকে যাচ্ছেই না। নতুন করে বাঁধভেঙ্গে প্লাবনের ফলে কয়েক হাজার হেক্টর চাষের জমি আবারও চলে গেছে জলের তলায়।প্রচুর টাকা খরচা করে আলু চাষ করেছিলেন কৃষকরা। সেই আলুর ফলনের সময় এখন। সেই সময়তেই বাঁধ ভেঙে প্লাবনের ফলে চাষের আলু মাটিতেই পচে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এক কোমর জলের মধ্যে দাঁড়িয়ে ফসলের আলু বাঁচানোর চেষ্টা করছেনকৃষকরা। তারা দাবি করছেন তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। তা না হলে তারা দিশেহারা হয়ে পড়বেন।
এদিন বন্যা প্লাবিত এলাকার চাষীদের পাশে দাঁড়ালেন যুব মিলন ফাউন্ডেশন এর যুবকরা’ তারা বন্যা প্লাবিত এলাকাগুলি পরিদর্শন করলেন এবং চাষীদের সমস্যার কথা শুনলেন।























