দক্ষিণবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: মঙ্গলবার সাতসকালে আহিরীটোলায় উদ্ধার ট্রলি ব্যাগবন্দি মহিলার দেহ। দেহ লোপাটের সময় আটক দুই মহিলা। স্থানীয় এলাকাবাসীর দাবি, দুই মহিলা সম্পর্কে মা-মেয়ে। খুব সম্ভবত তারা বারাসাতের বাসিন্দা বলে জানা যাচ্ছে। আটক ২ মহিলা ফাল্গুনী ঘোষ এবং আরতি ঘোষ। সম্পর্কে আরতি ঘোষের মেয়ে ফাল্গুনী ঘোষ।
দুই মহিলাকে আটক করে পুলিস। পরবর্তীতে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে নিশ্চিত করা যায় যে, তারা সম্পর্কে মা ও মেয়ে। এবং তারা মধ্যমগ্রামের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকত। মধ্যমগ্রামের যে বাড়িতে ভাড়া থাকত সেখানকার প্রতিবেশীদের কাছ থেকে জানা যায় এরা সাধারণত প্রতিবেশীদের সঙ্গে ঠিকমতো মেলামেশা করতেন না। এমনকী কথাও বলতেন না এবং এই বাড়িতে বেশ কিছু অপরিচিত মানুষের আনাগোনা ছিল।
এছাড়াও প্রতিবেশীরা জানায়, এরা প্রায় আনুমানিক আড়াই বছর ধরে এখানে ভাড়া আছেন। এই মা ও মেয়ের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে রীতিমতো অতিষ্ঠ হয়েছিল প্রতিবেশীরা এবং সেটা নিয়ে একাধিকবার কাউন্সিলরকেও জানিয়েছেন তারা। কাউন্সিলর জানায় বাড়ির মালিককে ঘটনাটি জানানোর পরেও কোনওরকম সুরাহা মেলেনি।
স্বপন দাস ওই বাড়ির মালিক। তিনি জানিয়েছেন, বছর পাঁচেক আগে মধ্যমগ্রামে বিরেশ্বর পাড়াতে বাডি ভাড়া নেন আরতি ঘোষ। ২০২৩ সালে মার্চ ভাড়া নেন তাঁর বাড়িতে। মা মেয়ে দুজন থাকতেন। আরতি স্বামীর পেনশন পেতেন। আগে কোনো খারাপ আচরণ না দেখলেও পাডার লোকের তরফে অবজেকশন জানায় বাড়ির মালিকের কাছে কয়েক মাস আগে। অভিযোগ, রাত হলে বাড়িতে ছেলেরা আসেন। তাই মারিতে এগ্রিমেন্ট শেষ হয়ে গেলে তাদের বাড়ি ছেড়ে দিতে বলে ছিলেন। পিসি শাশুড়ি যিনি খুন হয়েছেন তাঁকেও কখনো আগে দেখেননি বলে তিনি জানাচ্ছেন স্বপন দাস। এছাড়াও, এই বাড়িতে ভাড়া আসার আগে মধ্যমগ্রামে অন্য একটা বাড়িতে ১০/১২ বছর ভাড়া ছিলেন মা মেয়ে।























