দক্ষিণবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুর’-এর জবাবে আতঙ্কিত পাকিস্তানি সেনাবাহিনী একযোগে টার্গেট করেছিল ভারতের ১৫টা শহরকে। ১৫ শহরের সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালানোই ছিল তাদের উদ্দেশ্য। কিন্তু পুতিনের রাশিয়ার ভারতে দেওয়া উপহার দিয়ে চুরমার হয়ে গেল পাকিস্তানের সেই প্ল্যান৷ ভারতকে দেওয়া পুতিনের ‘গিফ্ট’ S-400 ‘সুদর্শন’ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের মাধ্যমে মাঝ আকাশেই উড়ে গেল পাকিস্তানের কিলার ড্রোন।
আর অন্যদিকে পাকিস্তানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে চুরমার করে দিয়ে লাহোর, করাচি সহ পাকিস্তানের ১৫ শহরে হামলা চালাল ভারত৷ বিষয়টা চিন্তায় ফেলবে চিনকেও৷ কারণ, চিনেরই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ব্যবহার করে পাকিস্তান৷ প্রধানমন্ত্রী মোদিকে এই ‘সুদর্শন’ উপহার দিয়েছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন৷ সেই উপহার এতদিনে প্রথম ব্যবহার করল ভারত। এর থেকে স্পষ্ট যে ভারতের নিরাপত্তা দুর্ভেদ্য৷
S-400 ‘সুদর্শন’ এর শক্তি কত? রাশিয়ার তৈরি S-400 ট্রায়াম্ফকে বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত এবং মারাত্মক বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। ভারতে এর নাম ‘সুদর্শন’। আসুন এর বিশেষত্ব সম্পর্কে জানি…..
S-400 হল একটি উন্নত রাশিয়ান বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যা আকাশ থেকে আসা শত্রুদের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান শনাক্ত করে এবং ধ্বংস করে। এটি রাডার, ক্ষেপণাস্ত্র এবং নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার সমন্বিত একটি সিস্টেম। এস-৪০০ প্রধানত তিনটি অংশে কাজ করে: রাডার, যা শত্রুদের লক্ষ্যবস্তুকে সনাক্ত করে; ক্ষেপণাস্ত্র, যা লক্ষ্যবস্তুর দিকে ছুটে যায় এবং ধ্বংস করে; এবং নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, যা পুরো সিস্টেমটিকে পরিচালনা করে।
রাডার সিস্টেম:মS-400 এর রাডার সিস্টেমটি খুবই শক্তিশালী, যা 600 কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্ব থেকে লক্ষ্যবস্তু সনাক্ত করতে পারে। এটি একই সময়ে 100 টি পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তু ট্র্যাক করতে পারে এবং 24টি পর্যন্ত ক্ষেপণাস্ত্রকে একই সাথে কাজে লাগাতে পারে।
ক্ষেপণাস্ত্র: S-400 বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে, যেমন: 40N6E: যা খুব দীর্ঘ পাল্লা (400 কিলোমিটার) পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করতে পারে। 48N6 পরিবার: যা দীর্ঘ পাল্লা (200-250 কিলোমিটার) পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করতে পারে। 9M96E2: যা মাঝারি পাল্লা (120 কিলোমিটার) পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করতে পারে। 9M96E: যা স্বল্প পাল্লা (40 কিলোমিটার) পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করতে পারে।
নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা: S-400 এর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, যা একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পরিচালিত হয়, সেটি রাডার এবং ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করে, লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করে, ক্ষেপণাস্ত্রকে টার্গেট করে এবং ধ্বংসের জন্য নির্দেশ দেয়।
এস-৪০০ এর মূল ক্ষমতা হল এর দ্রুত এবং নির্ভুল প্রতিক্রিয়া, যা একে বিভিন্ন ধরনের আকাশ থেকে আসা হুমকি মোকাবেলা করতে সক্ষম করে। এটি বিমান, ইউএভি, ক্রুজ মিসাইল, এবং ব্যালিস্টিক মিসাইল সহ বিভিন্ন ধরনের লক্ষ্যবস্তুকে ধ্বংস করতে পারে
চিন কেন বিচলিত হয়েছিল?
চিনের অস্ত্র ও প্রযুক্তি পাকিস্তানের মেরুদণ্ড৷ কিন্তু S-400-এর সাফল্য চিনা প্রযুক্তির নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। ভারত যেভাবে পাকিস্তানের একটি ক্ষেপণাস্ত্রও মাটিতে পৌঁছতে দেয়নি, আর ওদিকে পাকিস্তানের ডিফেন্স ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে, তাতে চিনের উদ্বেগ আরও বেড়েছে।