কলার বোন ভেঙে নার্সিংহোমে ভর্তি হয় এক শ্রমিক।অস্ত্রপচারের আগে শারীরিক পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখা যায় একাধিক অর্গানে সমস্যা তৈরি হয়েছে। ভেন্টিলেশনে চলে যাওয়া সেই রোগীকে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে আনলেন চিকিৎসকরা।
সন্ন্যাসী দাস’ হাওড়ার কলা বাগান লেনের বাসিন্দা মুক ও বধির ওই ব্যক্তি কারখানায় কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। ভারী আলমারি পড়ে যায় তার ওপর।কলার বোন ভেঙে ভর্তি হন হাওড়ার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে। অস্ত্রপচার করার আগে শারীরিক পরীক্ষা করতে গিয়ে চিকিৎসকেরা দেখেন তার কলার বোনের সাথে পাঁজরও ভেঙে গেছে। এছাড়াও লিভার,কিডনি ও ফুসফুসে আঘাতের কারনে সমস্যা তৈরী হয়েছে। এরপর তাকে আই সি ইউ তে ভর্তি করা হয়। কিন্তু ভেন্টিলেশনে চলে যায় ওই রোগী। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ একটি বিশেষ টিম তৈরি করে টানা ষোলো দিনের প্রচেষ্টায় তাকে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে আনেন। নার্সিংহোমের ডিরেক্টর ডঃ সুমনা বাগচী জানান রোগী মুক ও বধির হওয়ায় তার সমস্যা বোঝাতে পারছিলো না। এছাড়াও মাল্টি অর্গান সমস্যা দেখা দিয়ে জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়। তাকে বাঁচিয়ে তোলা কার্যত চ্যালেঞ্জ ছিলো। সন্ন্যাসী দাসের পরিবারের লোকেরা জানান তারা আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন। বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পেরে খুশী।























