দক্ষিণবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: শ্বশুর-শাশুড়ি এবং তাঁদের তিন মেয়েকে চা খাইয়ে অচেতন করে দিয়েছিলেন বাড়ির দুই বৌ। তার পর বিবাহিত প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলেন দুই জা। কিন্তু দ্বিতীয় বারেও সফল হল না ‘অভিযান।’ উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার এক বাড়ির দুই বৌ গ্রেফতার হলেন পুলিশের হাতে। বুধবার পুলিশের গাড়িতে বসে দুই জা স্বীকার করেন, একই প্রেমিকের সঙ্গেই তাঁরা পালিয়েছিলেন। পালানোর সময় যাতে তাঁদের কেউ বাধা দিতে না পারেন, সে জন্য বাড়ির সকলকেই চায়ে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাইয়ে দিয়েছিলেন।
সোমবার বিকেলে বাগদার ইয়াসিন শেখ এবং আনিসুর শেখের স্ত্রী নিখোঁজ হয়ে যান। তবে ওই দুই ভাই অভিযোগ করেন, প্রতিবেশী যুবক আরিফ মোল্লা তাঁদের স্ত্রীদের নিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন। আরিফের স্ত্রী-ও একই অভিযোগ করেন। মঙ্গলবার এমন অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসে পুলিশ। শেষমেশ দুই বধূকেই পাকড়াও করেছে পুলিশ। বুধবার পুলিশ ভ্যানে বসে ছোট বৌ জানান, তাঁরা এক জনের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলেন।
শ্বশুর-শাশুড়ি এবং মেয়েদের চায়ে কি বিষ মিশিয়েছিলেন? ছোট বৌ নাজমা মণ্ডল বললেন, ‘‘না, না… ওগুলো ঘুমের ওষুধ।’’ কেন করলেন এমনটা? এ বার জবাব দিলেন পাশে বসা বড় জা কুলচান। তাঁর স্পষ্ট কথা, ‘‘চায়ে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাইয়েছিলাম। আমরা পালানোর সময় যাতে কেউ আটকাতে না পারে সে জন্য করেছি।’’ এক প্রেমিকের সঙ্গেই দু’জন পালিয়েছিলেন? বড় বৌ মাথা নেড়ে বললেন, ‘হ্যাঁ।’
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালিয়ে মঙ্গলবার রাতে বাগদা থানার একটি জায়গায় অভিযান চালায় তারা। সেখানে পাওয়া গিয়েছে দুই জাকে। তবে তাঁদের প্রেমিক পালিয়ে গিয়েছেন। তাঁর খোঁজেও তল্লাশি চলছে। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘বাগদা থানার পুলিশ অভিযুক্তদের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন দেখে ধরে ফেলেছে। আরিফ মোল্লা নামে যুবকের খোঁজ চলছে।’’ অন্য দিকে, ধৃত দুই বধূকে বুধবারই হাজির করানো হচ্ছে বনগাঁ মহকুমা আদালতে।