আক্তারুল খাঁন, উলুবেড়িয়া: মাছ ভালবাসেন না এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া ভার। ভোজন রসিক বাঙালির কাছে তৃপ্তির আরেক নাম মাছ-ভাত। আর বাঙালির কাছে ইলিশ মাছ মানেই মাছের রাজা। বৃষ্টি জল না পড়লে নদীতে সাধারণত ইলিশের দেখা মেলে না।তাই একটু বৃষ্টি হলেই সকলে বাজারে গিয়ে খোঁজ শুরু করেন প্রিয় মাছ ইলিশের। যদিও এখন বর্ষা আসতে অনেক দেরি।ফলে ইলিশের মোরশুম এখনো শুরু হয়নি। কিন্তু এই অসময়ে হাওড়ার হুগলি ও রূপনারায়ণ নদীতে মৎস্যজীবীদের জালে উঠছে বাঙালির প্রিয় ইলিশ মাছ। ভরা চৈত্রে নদীর টাটকা ইলিশের স্বাদ নিতে হাওড়ার উলুবেড়িয়া ও শ্যামপুরের বাজারে ভিড় করছেন অনেকে। কিন্তু সেই ইলিশ কিনে বোকা বনে যাচ্ছে সকলেই। কারণ এই অসময়ের নদীর ইলিশে নেই কোন স্বাদ। উলুবেড়িয়া,গাদিয়াড়া,৫৮ গেট সহ বেশ কিছু বাজারে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ইলিশের আমদানি রয়েছে। তবে সেই সব ইলিশের ওজন কিন্তু ২০০- ৩৫০ গ্রামের মধ্যে।
দাম কিলো প্রতি ৩০০–৪০০ টাকার মধ্যে রয়েছে।দাম নাগালের মধ্যে হওয়ায় অন্য মাছ না কিনে ভজন রশিদ বাঙালি প্রিয় ইলিশ কিনে বাড়ি ফিরছেন। আকারে ছোট হলেও বাজারে যোগান রয়েছে ইলিশের। তবে স্বাদ না থাকায় এই ইলিশ বাড়ি নিয়ে গিয়ে বোকা বনে যাচ্ছেন অনেকেই।
হাওড়া গ্রামীণের শ্যামপুর এবং উলুবেড়িয়া নদী বেষ্টিত এলাকা। একদিকে হুগলি নদী অন্যদিকে রয়েছে রূপনারায়ণ। শ্যামপুর ও উলুবেড়িয়া এলাকার বহু মানুষ নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে।নদীতে জোয়ারের সময় ডিঙি নৌকা নিয়ে মৎস্যজীবীরা বেরিয়ে পড়েন মাছ ধরতে। মৎস্যজীবীরা জানান এই সময়টা নদীতে জল কম থাকে তাই মাছও বেশি পড়ে না। হাতে গোনা কিছু মানুষ নদীতে মাছ ধরতে যান এই সময়। বাকিরা এই সময়টা অন্য কাজ করে। কিন্তু হুগলি ও রূপনারায়ণে ইলিশ ঢুকেছে শুনে অনেকেই আবার নৌকা নিয়ে নদীতে বেরিয়ে পড়ছেন ইলিশের খোঁজে। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত কমবেশি সকলেরই জালে উঠছে ইলিশ। সেই মাছ বিক্রি হচ্ছে গাদিয়াড়া,৫৮ গেট সহ উলুবেড়িয়ার বিভিন্ন বাজারে।ইলিশের দামও কম দেখে সুযোগ হাতছাড়া করছে না ভোজন রসিক বাঙালি।
হুগলি ও রূপনারায়ণ নদী থেকে যে ভাবে ছোট ইলিশ ধরা হচ্ছে তাতে চিন্তিত মৎস্য দপ্তরের আধিকারিকরা। মৎস্য দপ্তরের এক আধিকারিকের কথায়, খোকা ইলিশ ধরা বেআইনি। এর ফলে বর্ষার সময় হুগলি ও রূপনারায়ণ নদীতে বড় ইলিশ পাওয়া যাবে না।
















